একটা ছোট বোন থাকাটা যে কতটা ভাগ্যের ব্যাপার, সেটা বোনটার বিয়ের পর থেকে খুব টের পাচ্ছি। পরিবারের সবথেকে কাছে একটা মানুষ আমার।ছোট থেকেই কতো রকমের ঝগড়াঝাঁটি তবুও সম্পর্ক টা অনড়। আমি তার বাধ্যতামূলক শ্রোতা, শুনতে না চাইলেও শুনতে হতো। সারাদিন অফিস করে বাসায় ঢুকতে না ঢুকতেই তার রেডিও চালু, খুব কম সময়ই মন দিয়ে শুনতাম,সে বুঝতো তবুও কথা চালিয়ে যেতো। গোছগাছে ছিলো নম্বর ১, সমস্যা শুধু দরকারি সময়ে আমি আমার জিনিস খুজে পেতাম না,কখন কোথায় গুছিয়ে রেখে দিয়েছে, তাকে ছাড়া খুজে পাওয়া মুশকিল। এখন দিন যাচ্ছে,কানের কাছে বকবক করার মানুষটা নেই, হ্যাঁ কথা হবে, দেখা হবে তবে আগের মতো সময়টা পাবে না ননস্টপ কথা বলার। বিয়ে যেদিন হলো,আমাকে জড়িয়ে কাঁদতেছিলো, খুব বলতে ইচ্ছে করেছে " এখন থেকে আমার ঘরটা গোছাবে কে? " বলিনি, তাতে হয়তো কান্নার মাত্রা টা আরও বেড়ে যেতো। আমি যতোটা আবেগপ্রবণ আমার বোনটা তার উল্টো। আমি অপ্রয়োজনীয় খরচ করি খুব, সেজন্য আম্মুর থেকে বেশি কথা শুনতে হয়েছে আমার বোনের কাছে। মাঝে মাঝে মনে হতো, আমি বড় নাকি সে আমার বড়! লিখতে লিখতে কাঁদতেছি,আমার লিখাটা কেউ পড়বে কিনা জানি না, কেউ পড়ুক সেজন্য আমি লিখতেছি ও নাহ। আমার বোন যদি কখনো পড়ে থাকে,তাকে বলতে চাই, আমি তোকে কতটা ভালোবাসি সেটা হয়তো কখনো তোকে বলা হয়নি অথবা জানতেও পারবি না, তবে খুব বলতে ইচ্ছে হয়, "মাঝে মাঝে এসে আমার ঘরটা গুছিয়ে দিয়ে যাস"। তোর ভাই টা যে বড়ই অগোছালো........